দুআ ক্বনূত না জানলে ?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আমাদের দেশের কতিপয় আলেম বলে থাকেন, যার দুআ ক্বনূত মুখস্ত নেই সে তিনবার সূরায়ে এখলাছ অবশ্যই পড়বে। নতুবা বিতর আদায় হবে না। এ ব্যাপারে আল্লামা আবু মুহাম্মাদ আবদুল ওয়াহহাব সাদরী বলেন, একথাটি বেদলীল ও সনদহীন এবং সম্পূর্ণ মনগড়া কথা। কুরআন ও প্রিয় 

নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হাদীছে যার কোন প্রমাণ ও সমর্থন নেই।  

অতএব দুআ ক্বনূত না জানলে তা পড়তে হবে না। কেননা আমার পূর্বে উল্লেখ করেছি যে, দুআ ক্বনূত পাঠ করা যেমন ওয়াজিব নয়, তেমনি উহা জানলেও যে সারা বছর পড়তে হবে তাও আবশ্যক নয়। বরং কখনো পড়বে কখনো ছাড়বে। এটাই সুন্নাত এবং সালাফে সালেহীন তথা ছাহাবায়ে কেরামের নীতি। 

وكل خير في اتباع من سلف

সালাফে সালেহীনের নীতি অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে সকল কল্যাণ। 


বিতর নামায শেষ করলে

বিতর নামাযের শেষে সালাম ফিরিয়েই অন্যান্য তাসবীহ দুআ ইত্যাদি বলার পূর্বে ‘সুবহানাল 

মালিকিল্‌ কুদ্দুস’ কথাটি তিনবার বলা সুন্নাত। শেষেরবার একটু টেনে বলতে হয়। 

উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

فَإِذَا فَرَغَ قَالَ عِنْدَ فَرَاغِهِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ ثَلاثَ مَرَّاتٍ يُطِيلُ فِي آخِرِهِنَّ

নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতর নামায শেষ করে তিনবার বলতেন, ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দুস’ (আমি মহা পবিত্র বাদশার পবিত্রতা বর্ণনা করছি।) শেষ বার তিনি এই শব্দগুলো একটু বেশী টেনে উচ্চস্বরে বলতেন। 

বিতর শেষ করে দু’রাকাত নামায আদায় করা
বিতর শেষে দু’রাকাত নামায আদায় করা যায় এবং এই নামায বসে বসে আদায় করা যায়। রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো এই নামায আদায় করেছেন। 
উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, 
أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي بَعْدَ الْوِتْرِ رَكْعَتَيْنِ
নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতরের পর দু’রাকাত নামায আদায় করতেন।   ইবনে মাজার বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ 
خَفِيفَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ
হালকা করে বসাবস্থায় উহা আদায় করতেন। 
সদা-সর্বদা এ নামায আদায় করা উচিত নয়। কেননা তাহলে অপর হাদীছ তোমরা তোমাদের রাতের নামাযের সর্বশেষে বিতর নামায আদায় করবে।  এর প্রতি আমল করা হবে না।
বিতর নামায পড়ার পর ইচ্ছা করলে নফল নামায পড়া যে জায়েয এটা প্রমাণ করার জন্যই নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ নামায আদায় করেছেন। (আল্লাহই অধিক জ্ঞাত)

Related Posts

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Subscribe Our Newsletter