দুআ কুনুতের সময় তাকবীর দেয়া ও তাকবীরে তাহরীমার মত দু’হাত উত্তোলন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সাধারন মানুষ এটাকে উল্টা তাকবীর বলে থাকে। হেদায়ার গ্রন্থকার লিখেছেন, দুআ ক্বনূত পড়ার সময় তাকবীর দিবে এবং দু’হাত উত্তোলন করবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সাতটি স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও হাত উত্তোলন করা যাবে না। সে সাতটি স্থানের মধ্যে একটি হলো কুনুতের সময়। 

ইমাম যায়লাঈ আল্‌ হানাফী স্বীয় গ্রন্থে বলেন: এ হাদীছটি হেদায়ার লেখক উল্লেখ করেছেন, কিন্তু হাদীসের মূল এবারতে (বাক্যে) ক্বনূত শব্দটির উল্লেখ কোথাও নেই।  

সুতরাং ক্বনূতের সময় তাকবীর দিয়ে হাত উত্তোলনের কথাটি নিছক হেদায়ার লেখকের কথা, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কথা তো নয়ই, এমন কি কোন সাহাবী বা তাবেঈর কথা নয়। তাছাড়া (সাত স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও হাত উত্তোলন করা যাবে না) হাদীছটি মারফূ’ ও মাওকূফ কোন সূত্রেই ছহীহ নয় তথা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বা কোন ছাহাবী থেকে প্রমাণিত নয়। 


অবশ্য মুহাম্মদ বিন নসর আল মারওয়াযী স্বীয় ‘ক্বিয়ামুল লাইল’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, কতিপয় ছাহাবী ক্বনূতের সময় তাকবীর দিতেন। কিন্তু আল্লামা মোবারকপুরী বলেন, যে সকল ছাহাবী ক্বনূতের সময় তাকবীর দিতেন বলে দাবী করা হয়, তার পক্ষে কোন সনদ খুজে পাওয়া যায় না।  

হাদীছ শাস্ত্রের কষ্টি পাথরে যাচাই করে প্রমাণিত হলো দুআ ক্বনূতের জন্য তাকবীর দেয়া এবং (কাঁধ বা কান বরাবর) উভয় হাত উত্তোলন করা কোন হাদীছের কথা নয়, বরং কুরআন-সুন্নাহর অনুসরনকারীর জন্য উচিত হল আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছাড়া অন্য কারো কথার প্রতি কর্ণপাত না করা, একমাত্র তাঁরই আনুগত্য করা। 


Related Posts

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Subscribe Our Newsletter